স্বপ্নের পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। রোববার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত এ স্থাপনার ওপর দিয়ে। রাত থেকে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ছিল গাড়ির দীর্ঘ সারি।
যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই প্রান্তের ১৪টি টোল গেট চালু হয়ে যায়। সবকয়টি গেটে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। নির্ধারিত টোল দিয়ে থ্রি হুইলার ছাড়া যেকোনো গাড়ি পার হতে পারছে পদ্মা সেতু দিয়ে।
প্রথম যে বাহনটি পদ্মা সেতুর টোল দিয়ে প্রবেশ করে সেটি একটি মোটরবাইক। ১০০ টাকা টোল দিয়ে সকাল ৬টায় প্রথম সেতুতে মোটরসাইকেল দিয়ে যাত্রা শুরু হলো পদ্মা সেতুর।
এর আগে শনিবার পদ্মার মাওয়া প্রান্তে সকাল ১০টায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা। সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোল পরিশোধ শেষে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছে সেতু ও ম্যুরাল-২ এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
আর্থিক, প্রকৌশল এবং রাজনৈতিক ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দীর্ঘতম সেতুটি উদ্বোধনের ফলে বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের। শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।
দেশের নিজস্ব অর্থের ওপর নির্ভর করে সেতু তৈরির ব্যাপারে অনেক অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের সন্দেহকে বাতিল করে সম্পূর্ণরূপে অভ্যন্তরীণ অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু অতিরিক্ত তাৎপর্য বহন করে।