রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও করহার উল্লেখযোগ্য পরিমানে বৃদ্ধি করার দাবি বাজারে এলো রিয়েলমি সি৬৫ স্মার্টফোন দ্রুত চার্জের সুবিধা নিয়ে এলো ভিভো ভি৩০ লাইট নতুন হ্যান্ডসেট এ৬০ নিয়ে এলো অপো স্যামসাং ফোন ক্রয়ে ফ্রি ইন্টা‌রনেট দি‌চ্ছে বাংলালিংক ৪ বছরের মধ্যে ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা নিয়ে এলো ভিভো ভি৩০ লাইট টেকসই রাজস্ব নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রয়োজন নীতিনির্ধারণে ধারাবাহিকতা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ‘অনার্স পাসের সনদ জালিয়াতির অভিযোগ! আদানি পাওয়ারের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ: রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ৩০ শতাংশ দেশজুড়ে চাঁদাবাজি ও একাধিক মামলার আসামী কৌশিক গংদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
ঘোষণা:
সত্য প্রকাশে অপ্রতিরোধ্য দৈনিক সময়ের কণ্ঠ ডটকমে আপনাকে স্বাগতম  

এক বছরের কাজ পাঁচ বছরেও শেষ করেনি এলজিইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩, ১:১৭ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উদ্বোধন না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে একটি আধুনিক মানের অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস ভবন। উপজেলা প্রকৌশলীর অবহেলা কিংবা ব্যর্থতায় হুমকিতে দৌলতপুরের মানুষের জন্য ব্যাপক প্রয়োজনীয় ভবনটি।

৮ লাখের বেশি মানুষের দৌলতপুরে এমনিতেই মিলনায়তন সঙ্কট। খোদ উপজেলা পরিষদ চত্বরের দুটি ছোট মিলনায়তনের একটি ভঙ্গুর পরিত্যক্ত, অন্যটি অপর্যাপ্ত এবং আধুনিক নয়। এরই মধ্যে ২০১৮ সালের জুন মাসে শুরু হয় সরকারি প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ শো আসনের আধুনিক অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ কাজ। যা শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০১৯ সালের জুন মাসে। কিন্তু, গেলো পাঁচ বছরেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করিয়ে উদ্বোধনের জন্য হস্তান্তর করেনি দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়।

২০২২ এর নভেম্বর থেকে প্রকৌশলী রাকিব হোসেন দায়িত্বে থাকলেও এক বছরে তালা খোলেননি তিনি, এমন বক্তব্য তার নিজের। রাকিব হোসেন বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি আমাদের এখনও কিছু কাজ বাকি আছে, সংশোধন আছে। উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেয়নি উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদ। কবে কাজ শেষ হয়ে উদ্বোধন হতে পারে সেটিও নিশ্চিত বলতে পারেননি তিনি।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকার শামীমকে হস্তান্তরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি শুরুতে জানান হস্তান্তর করে দিয়েছেন, ব্যস্ত আছি পরে কথা বলছি জানিয়েও পরবর্তীতে ফোন ধরেননি তিনি।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ওবায়দুল্লাহ বলেন, অডিটোরিয়ামটি উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ আমাদের কাছে হস্তান্তর করলেই আমরা উদ্বোধন ও বাকি কার্যক্রম শুরু করবো, তারা এখনও হস্তান্তর করেনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটি তৈরি এবং শব্দ যন্ত্র, চেয়ার, মঞ্চ সুসজ্জিত। কাঠের কাজে স্যাঁতাপড়া দাগ, ভবনের ভিতরে ব্যবহার করা সোফা ও চেয়ারের চামড়ার কাভারে ছত্রাক জমতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই নষ্ট হতে শুরু করেছে রঙও। প্রস্তুত ভবনটির বাইরে দক্ষিণ গেইটের দিকের অংশ এখনও অসম্পন্ন রয়েছে।

উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার জুয়েল বলেন, বিল্ডিংয়ের সব রেডি, কাজকাম শুরু না হওয়ায় পড়ে থেকে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

স্বরুপপুর এলাকার যুবক সাকীব বলেন, ভিতরে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিও লাগানো হয়ে গেছে, অব্যবহৃত পড়ে থেকে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা।

আসলেই কেন এতবড় সম্পদ নিয়ে অযত্ন অবহেলার টানাপোড়েন তা নিয়ে প্রশ্ন জনমনে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ.....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর