ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।বুধবার আদালতে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কাশিমপুর কারাগার (পার্ট-২)থেকে প্রায় ১০ মাস পর মুক্তি পান তিনি।কিশোরকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি
সমকালকে নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কারাগার-২-এর জেল সুপার আবদুল জলিল।
তিনি বলেন, জামিনের কাগজপত্র যাচাই-
বাছাই করে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কারাগার থেকে মুক্তির সময় কার্টুনিস্ট কিশোরকে গ্রহণ করতে কারাফটকে আসেন তার স্বজনেরা। এসময় তিনি বা তার পরিবারের কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।এরআগে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে
গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কার্টুনিস্ট কিশোরের জামিনের আদেশ দেন।কিশোর গ্রেপ্তার হওযার মামলাতেই গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি
কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মারা যান। আহমেদ কবির কিশোরের পাশাপাশি মুশতাক আহমেদের জন্যও আদালতে একাধিকবার জামিন চাওয়া হয়েছিল।
গত ১৩ জানুয়ারি এ মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদকে অভিযুক্ত করে
অভিযোগপত্র দেয় রমনা থানা পুলিশ।অপর আসামি জুলকারনাইন খান ওরফে সামিসহ অন্য আটজনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলাটি অধিকতর তদন্তে সিটিটিসিকে নির্দেশ দেন।আগামী ১৫ মার্চ এর প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।’সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব
ছড়ানোর’ অভিযোগে গত বছর ৫ মে র্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। আগের দিন
রাতে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
একই মামলায় রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক দিদারুল
ভূঁইয়া এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের
সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানকেও
গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে এ দু’জন
জামিনে মুক্তি পেলেও কিশোর ও
মুশতাকের জামিন হয়নি।