সিরাজগঞ্জের সার্কিট হাউজের সামনে মটর সাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে স্পিড বেকারের সাথে ধাক্কা লেগে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দুই জন । আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় বাপ্পী চৌধুরী কে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত নাঈম হোসেন শহরের গোশালা মহল্লার সিদ্দিক হোসেনের ছেলে। নাঈম শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে স্থাপিত ব্যাক বেঞ্চার রেষ্টুরেন্ট এ্যান্ড পার্টি হাউজের ব্যবস্থাপক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান ব্যাক বেঞ্চার রেষ্টুরেন্ট এ্যান্ড পার্টি হাউজের দুই মালিক নাঈম হোসেন,বাপ্পী চৌধুর ও তাদের বন্ধু পার্থ চক্রবর্তী রেষ্টুরেন্ট বন্ধ করে দুইটি মটর সাইকেল নিয়ে
বুধবার (23 ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের দিকে রওনা দেয়। মাটর সাইকেল দু’টি সার্কিট হাউজের সামনে স্পিড ব্রেকারের সামনে এসে গতি নিয়ন্ত্রন করতে না পারায় উল্টে যায় এতে ঘটনা স্থলেই মৃত্যু বরন করেন নাঈম হোসেন। আহত হয় বাপ্পী চৌধুরী ও পার্থ চক্রবর্তী। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর মধ্যে বাপ্পী চৌধুরীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপালে পাঠানো হয়েছে। আর পার্থ চক্রবর্তীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেরে দেয়া হয়েছে। নিহত নাঈম ছিলো একটি মটর সাইকেলে এবং বাপ্পী চৌধুরী ও পার্থ চক্রবর্তী ছিলো আপর আরেকটি মটর সাইকেলে। নাইমের মৃতদেহ রাতে গোশালা তার বাড়িতে আনা হলে কান্নায় ভেঙ্গে পরে তার স্বজন ছোট ভাই ও তিন মাসের অন্তসত্বা স্ত্রী। পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম। সম্প্রতি নাঈম হোসেন,বাপ্পী চৌধুরী এবং হৃদয় সুত্রধর তিনজন মিলে ব্যাক ব্রেঞ্চার নামে একটি রেষ্টুরেন্ট দিয়েছে। তাদের স্বপ্ন ছিলো নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে বড় কিছু করার। অল্পদিনের মধ্যে তার রেষ্টুরেন্ট টি অনেক নাম করেছে। নাইম হোসেন একটি বেসকরারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে। সামন্য অসাবধনতার করানে অকালে ঝড়ে গেলো সদাহাস্যজ্বল এক তরুণের প্রাণ। নাইমের স্ত্রী তিন মাসের অন্তসত্বা সন্তান ভুমিষ্ট হয়ে দেখতে পারবে না তার বাবা কে। এ এক করুন দৃশ্য। অনেকে বলেছে সার্কিট হাউজের সামনে কোন ষ্ট্রিট ব্রেকার ছিলো না।
বুধবার হঠাৎ করে ঐ স্থানে স্পিড বেকার দেয়া হয়েছে যা অনেকের কাছেই অজনা। অতিগুরুত্বপুর্ণ এই সড়কে স্পিড ব্রেকার দেয়া কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সচেতন মহল। এ ব্যাপারে, সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, সড়ক দূর্ঘটনা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। নাঈম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আরও দু’ জন আহত হয়েছে।