কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রাতের আঁধারে বসতবাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ২১ জুন দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর এলাকার এলঙ্গীপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ খাঁনের বাড়িতে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
বাড়ির মালিক আব্দুস সামাদ খাঁন ব্যবসায়ীক কাজে দেশের বাইরে থাকায় ও তার পরিবার শশুরের চিকিৎসা জনীত কারণে বাড়িতে না থাকায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র এসুযোগে বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকে ঘরের দরজার তালা ভেঙে ১২ ভরি স্বর্ন ও নগদ টাকাসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে পালিয়ে যায় বলে জানান আব্দুস সামাদ খাঁন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুস সামাদের বাড়ির প্রতিটি ঘরেই চোর চক্রটি প্রবেশ করে মালামাল চুরি করে সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে রেখে যায় এবং ল্যাপটপ কম্পিউটারসহ বেশ কিছু ব্যবহারিক জিনিসপত্র ভাঙ্চুরও করে তারা।
থানার উপ-পরিদর্শক কামাল ঘটনা স্থলে এসে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং কিছু আলামত জব্দ করে।
এবিষয়ে বাড়ির ভাড়াটিয়া মনির হোসেন বলেন,গত সোমবারে আমি আমার মাকে নিয়ে নানী বাড়িতে যায়,বাসা মালিক আন্টিরাও কেও নেই। আমি যখন গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাসায় ফিরে মেইন গেট ভেতর থেকে লাগানো পায়, সাথে সাথে আমি বাসা মালিক আন্টিকে জানায়,আন্টি তার ছেলের দুইজন বন্ধুকে পাঠায় আমি তাদের সাথে নিয়ে দেওয়াল টপকে বাসার ভেতরে ঢুকে দেখি এই অবস্থা। তারপর পুলিশকে জানানো হয়।
আব্দুস সামাদ খাঁন জানান, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা।এলাকার কিছু মাদকাসক্ত উচ্ছৃঙ্খল কিশোর গ্যাং এরা একটি সঙ্ঘবদ্ধ চোর চক্র ও এলাকার অনেক অপরাধের সাথে জড়িত এই চক্রটিই আমার বাড়িতে চুরি করেছে বলে আমি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। পুলিশ তদন্ত করলেই সব সত্য বেরিয়ে আসবে।
এবিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ঘটনা শোনামাত্রই সেখানে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়।
ঘটনার তদন্ত চলছে,এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।