আজ ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা নিবেদনের জন্য ফুলই যেন একমাত্র নিদর্শন। তাই উপহার হিসেবে গোলাপের চাহিদা সবার উপরে। লাল, হলুদ, সাদা কিংবা গোলাপি রঙা হলেও গোলাপের ভাষা ও আবেদনেও আছে মাহাত্ম্য।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়া শহরের ৭টি ফুলের দোকানে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা বেচা-বিক্রিও হবে বলে আশা করছেন ফুল ব্যবসায়ীরা।
এদিকে আজ পহেলা ফাল্গুন, নানা আয়োজনে বসন্তকে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে।প্রিয়তমাকে ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুনের শুভেচ্ছা জানাতে সাধ্যমত উপহার কিনছেন অনেকে। একইসঙ্গে কিনছেন ফুলও। একদিনে দুই আমেজে তাই বেড়েছে ফুলের কদর।
তবে গোলাপ কিনতে গিয়ে দাম শুনে হোঁচট খাচ্ছেন কেউ কেউ। কুষ্টিয়ায় স্থানভেদে আজ একটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
অথচ স্বাভাবিক সময়ে একটি গোলাপ বিক্রি হতো ১০-১৫ টাকায়।
(১৩ ফেব্রুয়ারী) রবিবার লাল গোলাপ ফুল বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকায়। সাদা গোলাপ, হলুদ গোলাপ ও গোলাপী গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই কুষ্টিয়া শহরের থানা ট্রাফিক মোড়ে প্রতিটি রঙের গোলাপ ফুল বিক্রয় হচ্ছে ৭০থেকে ৮০টাকা দরে। শুধু ভালোবাসা দিবস উপলক্ষেই এবার ফুলের বাজার চারগুন বেশি। দাম বৃদ্ধিতে এ যেন ফুলের বাজার চাঙ্গা। সকাল থেকেই তরুণ-তরুণীরা ফুল কিনতে ছুটছেন শহরের থানা ট্রাফিক মোড়ের ফুলের দোকানগুলোতে এমন চিত্রই দেখা গেছে। তবে ফুলের দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অনেকেই। বিভিন্ন রঙের গোলাপসহ সব ধরনের ফুল নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
ট্রাফিক মোড়ের নীলা ফুল ঘরের সুজন ইসলাম বলেন, ভালোবাসা দিবসসহ বছরের বিভিন্ন দিবসে ফুলের বাজার বৃদ্ধি পায়।বেশি দামে কিনলে বেশি দামেই বিক্রি করি। কম দামে কিনলে কমেই বিক্রি করবো। এবার গোলাপ ফুল ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা দরে ফুল চাষিদের কাছ থেকে কিনেছি। বিভিন্ন রকমের ফুল কিনতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ তরুণ-তরুণীরা। এবার বেচা-বিক্রিও বেড়ে গেছে।
এ বিষয়ে কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষাথী বলেন, ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানানোর একমাত্র মাধ্যমই এখন ফুল। ভালোবাসা জানাতে প্রিয় মানুষকে গোলাপ ফুল ও ফুলের মালা দেবে এটাই স্বাভাবিক। সে কারণেই এখানে ফুলের চাহিদা বেড়ে গেছে। তবে এর সুযোগেই অসাধু ফুল ব্যবসায়ীরা ফুলের দাম বৃদ্ধি করছে। প্রতিটি ফুলের দাম এ যেন আকাশ ছোঁয়া। ফুল নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কুষ্টিয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুর সালাম তলকদার বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করে চলেছি। ফুলের বাজারও অভিযান পরিচালনা করা হবে।