কুষ্টিয়ার প্রশিক্ষণ পাপ্ত নারী উদ্যোক্তাদের সাথে নতুন বছর টা উদযাপন করতে প্রায় শতাধিক ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে ঘুরাঘুরি যশোরের গদখালীতে।
অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিলেন, এটু জেড ট্রুর এন্ড ট্রাভেলস, রানা ও শাহারিয়ার
মন ভালো রাখতে হলে প্রকৃতির বিকল্প নেই। জীবনকে উপভোগ করতে অনেকেই ভ্রমণপিপাসু হয়ে থাকেন। আমাদের দেশের সব থেকে বড় ফুলের বাগান যশোরের গদখালীতে ভ্রমণ করলে মনে হবে, সৃষ্টিকর্তা মনে হয় নিজ হাতে তৈরি করে দিয়েছেন ভ্রমণপিপাসুদের জন্য।
ব্যস্ততম এই জীবনযাত্রার মাঝে হৃদয়ে প্রশান্তি এনে দিতে, অপরূপ ফুলের সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে এবং তা থেকে শিক্ষালাভের জন্য ভ্রমণের অন্যতম স্থান হতে পারে ফুলের রাজ্য যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী।
১ মাস আগে থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিলো , ঘুরতে যেতে হবে যশোরের গদখালীতে। যে ভাবনা সেই কাজ। রওনা হলাম ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৯ টার দিকে। ২ টি বাস নিয়ে শুরু করি আমাদের যাত্রা, শুরু হলো ফুলের রাজ্য গদখালীর উদ্দেশে। যাত্রাপথেই শাঁ শাঁ করে চলতে থাকা বাস।
এর মধ্যে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন স্থানে বাস থামিয়ে আমরা বিশ্রাম নি চা খাওয়ার জন্য,
যখন ঝিকরগাছা বাজারের রাস্তা অতিক্রম করে এগিয়ে যায়, তখন থেকেই প্রকৃতপক্ষে অপরূপতার আভাস মেলে। বাসের ভেতর থেকেই তাকিয়ে দেখতে থাকলাম শতবর্ষী পুরোনো সেই বেনাপোল মহাসড়কের শিশুগাছগুলো। যাওয়ার পথের প্রকৃতির এই দৃশ্য কোনোভাবেই ভোলার নয়। চারদিকে অপরূপ দৃশ্য, সারি সারি শিশুগাছ তো আছেই। দেখে মন ভরে যায়।
প্রায় দুই ঘণ্টা স্বপ্নময় গদখালীতে আমরা, বড় রাস্তা পেরিয়ে গ্রামের পথে ঢোকার কিছু পরেই ফুলের রাজ্যের দেখা পেলাম। দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যেন বিখ্যাত কোনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি। পানিসারা বাজারের বেশ কিছুটা পথ আগেই নেমে পড়লাম ভ্যান থেকে। হেঁটে হেঁটে দেখছিলাম পুরো এলাকা। তখন মনে হচ্ছিল, কোথা থেকে কোথায় আসা। সব দিকে ফুল আর ফুল। পথে পথে গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিউলাসসহ বিভিন্ন ফুলের মাঠের দেখা পেলাম। কোথাও খোলা মাঠে, আবার কোথাও ছাউনি দিয়ে সারি বেঁধে চলছে নানান রঙের ফুলের চাষ। পাশের এক গোলাপ বাগানে বেশ কয়েকজন কৃষককে ব্যস্ত দেখলাম ফুল কাটতে। স্তূপ করে রাখা এই ফুল ছড়িয়ে পড়বে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দেশের ফুলের মোট চাহিদার একটা বড় অংশের জোগান দিয়ে থাকেন ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার এই ফুলচাষিরা। ১৯৮৪ সালের দিকে এখানে ফুলের চাষ শুরু হয়। পরে কয়েক দশকে ফুল চাষে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে কয়েক গুণ।
মজার বেপার হলো আমাদের পিকনিক প্রোগ্রাম শেষে এই দিনটি স্মরনীয় করে রাখার জন্য লটারি খেলার আয়োজন করা হয়। খেলায় সভাপতিত্ব করেন, জুবায়ের পারভেজ বাপ্পি, মো.আলমগীর হোসেন, শামসুর নাহার ফুল খেলা শেষে পুরুষ্কার বিতরণ করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।