সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সরকারি দুটি খাদ্য গুদামে নির্ধারিত সময়ের মধে ন্যায্যমুল্যে কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রার অর্জিত হয়নি। খাদ্য গুদামগুলোতে ধানের সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে এখানকার হাটবাজারগুলোতে ধানের দাম কিছুটা বেশি। ফলে খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ঠরা।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,উপজেলান মধ্যনগর খাদ্যগুদামে দুই হাজার ৬০২টন ও ধর্মপাশা খাদ্য গুদামে দুই হাজার ৫০৯টন ধান সংগ্রহ করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। প্রতি কেজি ধান ২৬টাকা ও প্রতিমণ ধান এক হাজার ৪০টাকা দামে উন্মুক্ত লটারিতে বিজয়ী তালিকাভুক্ত প্রত্যেক কৃষক সর্বোচ্চ এক টন করে ধান বিক্রয় করতে পারবেন। কিন্তু ধানের সংগ্রহ তুলনামূলকভাবে খুবই কম হওয়ায় জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে লটারীতে বিজয়ী তালিকাভুক্ত কৃষক ছয়টন করে খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ উপজেলায় চলতি বছরের ২০মে থেকে ওই দুটি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয় এবং এর শেষ মেয়াদ ছিল ৩১আগস্ট সোমবার। এ পর্যন্ত উপজেলার মধ্যনগর খাদ্য গুদামে এক হাজার ৯৪৮টন ও ধর্মপাশা খাদ্য গুদামে এক হাজার ৬ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, গুদামে প্রতিমণ ধান বিক্রি করলে দেওয়া হয় মাত্র এক হাজার ৪০টাকা। অথচ স্থানীয় বাজারগুলোতে ধান বিক্রি করলে প্রতিমণ ধানের দাম পাওয়া যাচ্ছে ১০৭০থেকে ১০৮৫টাকা। বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় গুদামে কোনো কৃষক ধান নিয়ে যাচ্ছেন না।
ধর্মপাশা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা তাহিরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বি. এম মুশফিকুর রহমান বলেন, খাদ্য গুদামে সরকারি নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে হাটবাজারগুলোতে তুলনামুলক ধানের দাম কিছুটা বেশি রয়েছ। এ অবস্থায় এখানকার দুটি খাদ্য গুদামে শতভাগ ধান সংগ্রহ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি ।ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। ধান সংগ্রহের মেয়াদ ১৫সেপ্টম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে বলে শুনতে পাচ্ছি।তবে এ সংক্রান্ত এখনো কোনো চিঠি আমরা পাইনি।