মহামারির কারণে দুই বছর নিষ্প্রাণ ছিল ফকির লালন সাঁইয়ের আখড়া। বারবার প্রাণের টানে আখড়াতে এসেও ফিরে গেছেন লালন ভক্ত-অনুসারী বাউলেরা।
দুই বছর পর কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় বসেছে দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে ৩ দিনের লালনমেলা।আবারও আনন্দ-উৎসবে মেতেছেন বাউল-সাধক এবং ভক্তরা।
একতারা, দোতারা আর ঢোল বাঁশির সুরে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে ফকির লালনের ভবের হাট। ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ আধ্যাত্মিক এই বাণীকে সামনে নিয়ে দৌলপূর্ণিমা উপলক্ষে আখড়াবাড়ীতে তিন দিনের লালন উৎসবের শেষ দিন আজ।
নিজেকে চেনা, অজানাকে জানার জন্য কয়েকদিন ধরে আখড়ায় অবস্থান নেওয়া সাধু ভক্তরা বলছেন, অর্জিত লালন শিক্ষা নিজের ও সমাজের শান্তির পথ হবে।
সাধুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ৩দিনের লালন মেলায় আজ বৃহস্পতিবার শেষ দিনে জমজমাট হয়ে উঠেছে লালন উৎসব। দেশ-বিদেশ থেকে আসা লালন ভক্ত, বাউল, ফকির ও অনুসারীরা আখড়াবাড়িতে অবস্থান নিয়ে লালনের অহিংস জাতপাতহীন মানব-মুক্তির বাণী প্রচার করে চলেছেন। লালনের রীতি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অধিবাস, কাল বাল্য ও পূর্ণ সেবা শেষ করে আখড়াবাড়ী ছাড়বেন সাধু ভক্তরা।
রাজবাড়ী থেকে আসা বিপ্লব নামে এক এক লালন অনুসারী বলেন, লালন এমনই একজন সাধক ছিলেন যিনি সকল ধর্মের মানুষ কে সমান চোখে দেখতেন।এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এই মেলায় এসেছে সকলে মিলেমিশে লালন স্মরণ উৎসব পালন করছে।দেখে মনে হচ্ছে এই উৎসব সকল ধর্মর জন্য।এজন্যই সাইজি জাতপাত নির্বিশেষে সকল মানুষকে একই ভাবে দেখতেন।