রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পোমরা ইউনিয়নের শিরাজিপাড়া গ্রামের দিনমজুর এক গরিবের মেয়েকে বিয়ে করতে আসা ৩ প্রতারককে ধরেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
শুক্রবার(১৬ জুলাই)সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে, কনে’র বাবা জানান,শুক্রবার(১৬ জুলাই) সন্ধায় “আকদ” পড়ে ১৫ জন বরযাত্রী এসে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বর পক্ষ থেকে আসে তিন জন।বর মোহাম্মদ হোসেন(৪২),কথিত মামা মনছুর(৫৫) ও কথিত বন্ধু মোহাম্মদ তসলিম(৩৫)-কে সাতে নিয়ে বিয়ে করতে আসেন।যারা সঠিক ডকুমেন্টস দিতে ব্যার্থ হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আবু তাহের মেম্বারের সাতে কথা বললে তিনি জানান,কন্যার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায়,এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শুক্রবার(১৬-জুলাই) সন্ধায় বিয়ের আয়োজন করেন,আগের’দিন বৃহস্পতিবার কথিত মামার হাতেও তুলে দেন বিশ হাজার টাকা।এবং শুক্রবার খাবারের আয়োজন করেন,এতে খাবার শেষে, আকদ ও কাবিননামা লেখার জন্যে প্রয়োজনীয় পেপার চায়লে বাধে বিপত্তি,জাতীয় পরিচয়পত্র,জম্মসনদ কিছুই দিতে পারে না বরপক্ষেত তিন সদস্য,বরের কাছে ছিলো আগের বিয়ের কাবিন নামা,আগের স্ত্রী মারা গেছেন বললেও দিতে পারেনি কোন মৃত্যু সনদ,বরের বাড়ি বরকল ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামে। পিতা আমির খান ও মাতা মরিয়ম খাতুন। তবে মামা এবং বন্ধু পরিচয় দেওয়া মোহাম্মদ মনছুর ও বন্ধু তসলিম এর বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী গ্রামে।পরিবারের আত্নীয় সেজে আসা ব্যাক্তিদের ঠিকানার ভিন্নতা কেন জানতে চায়লে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।এতে মেয়ে বিয়ে দিতে আপত্তি জানান ক’নে পক্ষ।
কথিত বন্ধু তসলিম(৩৫)জানান আমি বর’কে চিনি না, আমি মনচুরের কথায় এসেছি,মামা সেজে আসা মনছুর জানান তাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ছদ্মবেশী মামা সাজিয়ে নিয়ে এসেছিলো।যেখানে তসলিম কেও ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা।কিন্তু তসলিম সেটি অস্বীকার করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান,মেয়ের পিতা গরিব হওয়ায়,এলাকাবাসী তাদের আটক করে রেখেছে,এবং বরের পরিবার কে খবর দিয়েছে,সামাজিক ভাবে একটা সুরাহা করার জন্য।যদি বরের পরিবার না আসে,তবে আইনিপদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান।