শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪১ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
সত্য প্রকাশে অপ্রতিরোধ্য দৈনিক সময়ের কণ্ঠ ডটকমে আপনাকে স্বাগতম  

সমাজসেবায় বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছেন কবির পান্না

আবীর হাসান স্বাধীন কুষ্টিয়া
আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১, ৪:৫০ অপরাহ্ন

দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের হরিনগাছির অজপাড়াগায়ে কবির পান্না জন্মগ্রহণ করলেও তার স্বপ্ন ছিল মানুষের জন্য ভালো কিছু করা বিশেষ করে প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য কিছু করা, সুশীল সমাজের অনেকেই প্রতিবন্ধী মানুষদেরকে ঘৃণার চোখে দেখলেও এই কবির পান্না তাদের বুকে টেনে আগলে রেখেছেন, তার বদওলতে পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার, তবে কবির পান্না জানান মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি এর থেকে বড় পুরস্কার আর কি হতে পারে।

৪৮ বছর বয়সে কবির পান্না একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সর্বমহলে কুড়িয়েছেন অজস্র প্রশংসা, তার ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দৌলতপুর প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে প্রতিনিয়ত আলোর মুখ দেখছে অসহায়, দুস্থ ও সমাজের চোখের বোঝা প্রতিবন্ধীরা।

কবির পান্না ছোটবেলা থেকেই, তিনি উদ্ভাবন সম্পর্কে চিন্তাভাবনা এবং গবেষণা করতে পছন্দ করেন। তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং লক্ষ্যগুলি তাকে আজ সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। আজ তাঁর একটি সফল ব্যক্তিত্ব রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে নামকরণ করেছেন।আজ, তাঁর উদ্যোগটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দুর্দান্ত জায়গা নিয়েছে

কবির সর্বদা প্রতিবন্ধি,মানবাধিকার বাস্তবায়ন ও মাদক প্রতিরোধ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।কবির তার যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন যাতে উদ্যোক্তারা কাজ করতে অক্ষমতার মুখোমুখি না হন।কবির পান্না অনেকে আশা করছেন যে এটি আজকের উদ্যোক্তার জন্য একটি দুর্দান্ত সমর্থন হবে। তিনি সামাজিক দায়বদ্ধতার সাথে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত রয়েছেন

একজন উদ্যোক্তা হিসাবে কবির বিশ্বাস করেন যে সাফল্যের কোনও শর্টকাট নেই। লোকেরা তাদের সততা, একাগ্রতা, পরিশ্রম এবং কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা সফল হয় না। মানুষের কর্মে যেখানে সত্যতা নেই সেখানে কর্মের প্রতি সত্য সম্মান নেই এবং আসল সাফল্য খুঁজে পাওয়া যায় না।সুতরাং প্রতিটি মানুষের উচিত সততার সাথে কাজ করা।

যুবকদের প্রতি কবিরের বার্তাটি হ’ল: “আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করবেন না, আপনি ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আপনি যে পরিশ্রমটি চান তা হ্রাস করে এবং লক্ষ্যটিকে আরও বড় করে এবং সাফল্যের দিকে এগিয়ে গিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করুন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন, কঠোর পরিশ্রমই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে আমাদের অনেকদূর যেতে হবে। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে আমরা যেখানেই থাকি না কেন, সবার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা রয়েছে। আপনি অন্য ব্যক্তির প্রতি যে সহায়তা প্রদান করেন তার সাথে আপনাকে আরও বৈষম্যমূলক হতে হবে।

সমাজ সেবাই বিশেষ ভূমিকা রাখায় কবির পান্না নানান সময় পেয়েছেন পুরস্কার ও সম্মাননা তার যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল

সেরা প্রতিবন্ধী সংগঠক পুরস্কার ও সম্মাননা, নদী ও পরিবেশের উপর বিশেষ ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ নদী বাচাও আন্দোলন থেকে সম্মাননা এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার থেকে বিশেষ সম্মাননা এবং মাওলানা ভাষানী পুরুষ্কার।

এছাড়া কবির বেশকিছু সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছে যেমন মাদক প্রতিরোধ কমিটির দৌলতপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের দৌলতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি, রোগী কল্যান সমিতির দৌলতপুর উপজেলা শাখার আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য, এপেক্স ক্লাব অফ দৌলতপুরের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, ডোনেট বাংলাদেশের উপদেষ্টা সহ নানামুখী সামাজিক সংগঠনের সাথে কে কাজ করে যাচ্ছেন।

ব্যক্তিজীবনে কবির পান্নার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা খানম একটি বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা এবং দুই ছেলে নাগীব সালেহীন ও নাগীব সাফিন অধ্যয়নরত অবস্থায় রয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ.....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর