মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
সত্য প্রকাশে অপ্রতিরোধ্য দৈনিক সময়ের কণ্ঠ ডটকমে আপনাকে স্বাগতম  

কুমারখালীতে পৌরসভার রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ

এনামুল হক ইমন কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মুল বাজারে পৌরসভার রাস্তা দখল করে বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে বাঁখই রাগিব হাসান কলেজের প্রভাষক ও শতরুপা বস্ত্র বিতানের স্বত্বাধিকারীরা আখিরুজ্জামান শাহিন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজ বন্ধ করে দিলেও রাতের আঁধারে ও শুক্রবার ভোড় বেলায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের।

ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না ইমারত নির্মাণ আইন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা। অভিযোগ রয়েছে, নির্মিতব্য ভবনের নকশা নিয়েও।

স্থানীয় ব্যবসায়ী গিয়াস, মুক্তার, ইসারত সহ একাধিক ব্যক্তি জানান,শাহিন জায়গা ক্রয়ের পর পুরাতন স্থাপনা ভেঙে মঙ্গলবার থেকে নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন।পরেরদিন সকালে তারা এসে দেখেন পৌরসভার ৪ ফুট প্রশস্থ রাস্তার মধ্যে ১ ফুট কেটে তার স্থাপনার মধ্যে নিয়ে নিয়েছে এবং রাস্তার নীচের মাটি সরিয়ে প্রায় ৩ ফুট বেজ ভিতরের দিকে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা প্রতিবাদ করলে শাহিন তাদের উপর চড়াও হয়। এ বিষয় নিয়ে বুধবার শাহিনকে নির্মিতব্য কলাম ভেঙে ৩ ফুট সরিয়ে নির্মাণ কাজ করার নির্দেশনা দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে কাজ চলমান রাখলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজ বন্ধ রেখে জমির কাগজ নিয়ে হাজির হতে বলেন। কিন্তু তারপরও সে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নির্মাণ কাজ চলমান রাখে। এসময় সংবাদ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলিশ ও তার দাপ্তরিক লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে শুক্রবার ভোড়ে আবারও শাহিন বালি ভরাটের কাজ অব্যাহত রাখে। তারা আরো জানান বাজারের প্রধান সড়কের বাইপাস সড়ক এটি। প্রায় ১৫/২০ টা দোকানের সম্মুখ দিয়ে গিয়েছে এই সড়ক। সড়কটি কম প্রশস্ত হবার কারনে এমনিতেই ভ্যান ঢুকে না তারপর যদি আরো ১ফুট প্রশস্ততা কমে যায় সেক্ষেত্রে মালামাল বহন করা অসম্ভব হয়ে পরবে।

এ বিষয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আকরামুজ্জামান বলেন, সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে সে রাস্তার মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ করেছে। প্রধান সড়কে ৫ ফুট ও সাইড সড়কে ৩ ফুট জায়গা ফেলে রেখে নির্মাণ কাজ করার পৌর বিধান রয়েছে। কিন্তু সে কোন নিয়মের তোয়াক্কা করেনি। তিনি আরো জানান এখনো নকশা অনুমোদন হয়নি।

পৌরমেয়র মো. সামছুজ্জামান অরুন জানান, ইতিমধ্যে তাকে কলাম ভেঙে পৌরসভার জায়গা ৩ ফুট ফেলে রেখে নির্মাণ কাজ করার জন্য লিখিত নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) তামান্না তাসনীম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নির্মাণ কাজ করার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও দাপ্তরিক লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। আবার নাকি শুক্রবার সকালে কাজ করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ.....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর