পটুয়াখালী সদর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে বিজ্ঞ আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর পূর্বক বসত ঘর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সদর পৌরসভাধীন সেন্টার পাড়ার বাসিন্দা সোনালী ব্যাংক মৌকরন শাখার কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী, পিতাঃ স্বর্গীয় খোকন চ্যাটার্জী। একই এলাকার বাসিন্দা শুভাশীষ মুখার্জীর ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবরদখল করে বসত ঘর নির্মান করিতেছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী শুভাশীষ মুখার্জী বলেন, আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি পটুয়াখালী মৌজার জেএল নং ৩৮ এর ১৯২৮ নং খতিয়ানের ৬৮০০/৬৮০১ দাগের ২৪৭৫ সহশ্রাংশ জমির
ভোগদখল নিয়ে ভূমিদস্যু বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী সাথে দির্ঘদিন ধরে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। যার মোকদ্দমা নং ৬৫/১৯ ইং। চলমান মামলার ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞ আদালত গত (২৬’মে) ১৯ ইং তারিখ একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন যা আজও বিদ্যমান। তিনি আরও বলেন, বিরোধীয় সম্পত্তির উপর আদালতের করা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত (২৫’মে) ২১ ইং তারিখ বেলা ১১ ঘটিকায় বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী ও তার পেটোয়া বাহিনী নিয়ে বসতি নির্মান করতে আসলে আমি তাতে বাধা প্রধান করিলে আমাকে খুন জখমের ভয় দেখায়। আমি নিরুপায় হয়ে গত (২৮’মে) ২১ ইং তারিখ পটুয়াখালী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। যার ডাইরি নং ১২৮৮।থানাপুলিশ আমার অভিযোগের ভিত্তিতে ভূমিদস্যু বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জীকে বসত ঘর নির্মানে বাঁধা দিলেও অদৃশ্য কারনে থেমে যায়।
সরেজমিন অনুসন্ধানে শুভাশীষ মুখার্জীর করা থানায় লিখিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারি বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই বলে আস্থে করে ঘটনাস্থল ত্যাক করেন।
ভুক্তভোগী শুভাশীষ মুখার্জীর বলেন আমার জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। যারা আদালত ও থানা পুলিশ মানে না তারা যে কোন মুহূর্তে আমার বড় ধরনে ক্ষতি সাধন করতে পারে।
এব্যাপারে সদর থানা-পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আক্তার মোর্শের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বসত ঘর নির্মান করা বেআইনি এবং সার্বিক বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেন।