বেসরকারী গবেষণাকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত তথ্য,পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে উপস্থিত গভীর নিম্নচাপ আরো ঘনীভূত হয়ে আজ ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘YAAS’ বা ‘ইয়াস’। ঝড়টির কেন্দ্র এখনো সুগঠিত হয়নি। সরকারিভাবে সমুদ্রবন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রক্রিয়া চালু থাকায় এবং অন্যান্য আবহাওয়া পরিস্থিতি জনিত কারণে দেশের বেশীরভাগ স্থানে বৃষ্টিপাত বন্ধ রয়েছে।
ঝড়ের বাইরের অংশের বায়ুপ্রবাহের কারণে গতকাল থেকে মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে বিশাল একখন্ড মেঘের উপস্থিতি দেখা যায় এবং বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের ফলে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম এবং তাপদাহের তীব্রতা সাময়িকভাবে কিছুটা কমেছে। ঘূর্ণিঝড় উপকূলের নিকটবর্তী হওয়ার সাথে সাথে দেশের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে এবং সর্বাধিক বৃষ্টিপাত থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সময়ে এবং পরবর্তীকালে। এই বিষয়ে সময়োপযোগী আপডেট থাকবে।
ঝড়টি ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকবে এবং বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে গতিশীল থেকে ভারতীয় উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সময় বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ থেকে নিকটবর্তী থাকবে। অর্থাৎ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে প্রভাব বেশী পড়বে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের ট্রাক বা গতিপথ অনেকগুলো রয়েছে তার মধ্যে সর্বাধিক সঠিক মনে হয় এটি উড়িষ্যা উপকূলের যেকোন স্থান দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। অর্থাৎ গত বছর মে মাসে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান‘ এর থেকেও আরো বেশ কিছুটা পশ্চিম দিক দিয়ে ঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে।
নিশ্চিত ট্রাক বা গতিপথ পেতে এখনও দেরী হবে। ঝড়টি যেখানেই আঘাত করুক না কেন এই প্রভাবে বাংলাদেশের মধ্যে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি থাকবে। যারা ধান কাটায় ব্যস্ত ও বিভিন্ন রোদের কাজে নিয়োজিত আছেন তাদেরকে এখন থেকেই সাবধান হতে হবে। আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২:০০(PM) টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র থেকে নিকটতম ভারতীয় উপকূলের দূরত্ব: ৫১১ কিঃমিঃ প্রায়। বাংলাদেশের কুয়াকাটা থেকে দূরত্ব: ৫৭৫ কিঃমিঃ। বাংলাদেশের টেকনাফের সমূদ্র সৈকত থেকে দূরত্ব: ৫৩৬ কিঃমিঃ প্রায়।