বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনালি ধানখেত। কিন্তু হিট ইনজুরির আঘাতে কৃষকের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। ধানের শীষ সাদা হয়ে চিটায় পরিণত হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। লাভের পরিবর্তে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষক।
কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে ৩৩ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ৩৫ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে।
সোনালি ধানে কৃষকের গোলা ভরে উঠার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ায় কৃষকের স্বপ্ন ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় বোরো ধানের ফলন ভালো হলেও হিট ইনজুরির কারণে শীষ সাদা হয়ে চিটা হওয়ায় কৃষকরা হতাশ।
কৃষকের স্বপ্ন পূরণের সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকৃতি কৃষকের সে স্বপ্নে আঘাত হানায় খাদ্য সংকট তৈরি হবে বলে মনে করছেন এ অঞ্চলের কৃষকসহ সংশ্লিষ্টরা।
দৌলতপুরের কামালপুর গ্রামের বোরো ধানচাষি হযরত আলী জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। খেতের ধানও ভাল হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ধানের শীষ সাদা হয়ে যাচ্ছে। বিষ প্রয়োগেও কোনো সুফল আসছে না। শেষ মুহূর্তে ধানের এমন অবস্থা হওয়ায় দুশ্চিন্তার শেষ নেই। একই অবস্থা ঘোড়ামারা এলাকার কৃষক সাদিকুর রহমানেরও। তার আড়াই বিঘা ধান খেতের একই অবস্থা।
বোরো ধান চাষে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও সঠিক পরিচর্যার কথা জানিয়ে থাকেন কৃষি বিভাগ। হিট ইনজুরিতে শেষ মুহূর্তে ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।