আবাস মণ্ডলের বয়স ত্রিশ হলেও আকৃতিতে মাত্র ৪০ ইঞ্চি হওয়ায় তার পাত্রী মিলবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বাবা মা। অন্যদিকে মিম খাতুনের আকৃতি ৪২ ইঞ্চি হওয়ায় তার বিয়ে নিয়েও চিন্তায় থাকতেন বাবা-মা। অবশেষে দীর্ঘ চেষ্টার পর ক্ষুদ্রাকৃতির এই দুইজনের বিয়ে হওয়ায় খুশী তাদের পরিবার। শুক্রবার রাতে ব্যতিক্রমী এ বিয়ে সম্পন্ন হয় ঝিনাইদহের শৈলকুপার আউশিয়া গ্রামে।
এদিকে ক্ষুদ্রাকৃতির এ নব দম্পতিকে দেখতে সকাল থেকেই বরের বাড়িতে ভিড় করছেন প্রতিবেশী ও গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনেকেই নব দম্পতিকে দেখে খুশিতে উপহার তুলে দিচ্ছেন।
বর আব্বাস মন্ডলের মা সাহিদা বেগম জানান, ছোট ছেলের আকৃতি স্বাভাবিক হওয়ায় তার বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর আগে। কিন্ত বড় ছেলে আব্বাস বামনাকৃতির হওয়ায় তাকে নিয়ে দুচিন্তা করতেন তারা। এ দু;শ্চিন্তার অবসান ঘটেছে শুক্রবার রাতে। একই উপজেলার লক্ষন্দিয়া গ্রামের ইউনুস আলী মোল্যার বড় মেয়ে মিম খাতুনকে তারা ছেলের পাত্রী হিসাবে পছন্দ করেন। শুক্রবার রাতে বরযাত্রী নিয়ে তারা কনের বাড়িতে যান। পরে সেখানে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর রাতেই নববধূকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।