বিজিবির অভিযান পরিচালনা করে এক লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে।টেকনাফ ২বিজিবির অধিনায়ক লে, কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান বলেন, ভোর রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২বিজিবির) অধীনস্থ টেকনাফ বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল নাফ নদীতে তাদের নিয়মিত টহল পরিচালনা করছিল। এমন সময় পরবর্তীতে টহলদল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, লাফারঘোনা বরাবর নাফ দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদে টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করে এমন সময় কয়েকজন ইয়াবা পাচারকারীকে নৌকাযোগে বিআরএম-৫ হতে ৫০০ গজ পূর্ব দিক দিয়ে নাফ নদীর কিনারায় ভিড়তে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। চোরাকারবারীরা দূর হতে টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ করে কেওড়া বাগানের জঙ্গলের দিকে নৌকা হতে লাফিয়ে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে দ্রুত পালিয়ে যায়। উক্ত টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া নৌকাটি তল্লাশী করে দুইটি ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগগুলোর খুলে গণনা করে এক লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাবা বলে জানা যায়। ইয়াবা উদ্ধারের সময় ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া একটি হস্তচালিত কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, ইয়াবা পাচারকারীদের আটকের জন্য বর্ণিত এলাকা ও নদীর তীরসহ পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ২ঘন্টা যাবৎ অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ পরবর্তীতে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।